
ইংল্যান্ড কখনোই বাংলাদেশকে গোণায় ধরেনি। ইএসপিএন-এ আজকের খেলা বিশ্লেষণের শিরোনাম করেছে- Can Bangladesh be England’s banana peel? অর্থাৎ বাংলাদেশকে স্রেফ অবজ্ঞা করে উড়িয়ে দিচ্ছে। দেবে না-ই বা কেন? দুই দলের মধ্যে যে আকাশ-পাতাল ব্যবধান। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে অস্ট্রেলিয়ার পরেই ইংল্যান্ডের অবস্থান। বিশ্বকাপের বর্তমান রানার্স আপ-ও তারা। আর বাংলাদেশের অবস্থান একদম তলানিতে।
আইসিসি নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপে আজ বাংলাদেশ মুখোমুখি হবে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। বিশ্ব ক্রিকেটে এটি একটি বিরল ঘটনাই বলা চলে। কারণ এই ফরম্যাটে দুই দল মাত্র একবার মুখোমুখি হয়েছে — ২০২২ বিশ্বকাপে। বাংলাদেশে সিরিজ খেলতে আসতে বা বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানাতেও ইংল্যান্ডের তাই বরাবর কার্পণ্য।
বাংলাদেশ অধিনায়ক নিগার সুলতানা তাই বলেছেন,
“এ হলো সেই মঞ্চ যেখানে আমরা আমাদের সামর্থ্য দেখাতে পারি, যেন (ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া)-র মতো দলগুলো আমাদের সঙ্গে খেলতে আগ্রহী হয়।”
বিরল দ্বৈরথ
২০২২ বিশ্বকাপে ওয়েলিংটনে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ১০০ রানে শোচনীয় পরাজয় হয়েছিল বাংলাদেশের। ইংল্যান্ডের ২৩৪ রানের জবাবে ১৩৪-এই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। সেই ম্যাচে অনেকেই এখনো বাংলাদেশ দলে আছেন। অধিনায়ক নিগার সুলতানা, টপ অর্ডার ব্যাটার ফারজানা, শারমিন, অলরাউন্ডার নাহিদা, ফাহিমার সেই ম্যাচটিকে হয়তো ভুলেই যেতে চাইবেন। তবে সে সময় বাংলাদেশ ছিল একেবারে তারুণ্য নির্ভর একটি দল।
খেলার অভিজ্ঞতা বিবেচনা করলে এখনো ইংল্যান্ডের থেকে বহু দূরে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের একেকজন প্লেয়ারের যেখানে এক দেড়শো ওডিআই খেলার অভিজ্ঞতা, সেখানে বাংলাদেশের সবচেয়ে অভিজ্ঞ খেলোয়াড়ও টেনেটুনে ৫০ টা ম্যাচ খেলেছেন। এক হিদার নাইট একাই খেলেছেন ১৫০ ম্যাচ, ট্যামি বিউমন্ট খেলেছেন ১৩৩ ম্যাচ। তবে এরপরেও ২০২২-এর তুলনায় বাংলাদেশের দল অনেক পরিপক্ক। দলে অন্তত ৫ জন প্লেয়ার আছেন যারা ৫০ টি ওয়ানডে খেলেছেন। এর মধ্যে ফারজানার ঝুলিতেই আছে ৭৭ টি ম্যাচ, নিগার খেলেছেন ৫৯ টি, নাহিদা ৫৫ এবং ফাহিমা ৫০ ম্যাচ।
তবে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়ার মতো বড় দলের সাথে খেলার ঘাটতি রয়েই গেছে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে পাকিস্তানকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তুতি ম্যাচে হারিয়েছে শ্রীলংকাকে। প্রথম ওয়ানডে খেলতে নেমে প্রতিভার ঝলক দেখিয়েছেন ঝিলিক। মারুফা আক্তারের প্রথম ওভারের বোলিংকে তো লাসিথ মালিঙ্গার মতো কিংবদন্তী খেলোয়াড়ও সম্মান জানিয়েছেন, তিনি লিখেছেন- এই টুর্নামেন্টের সেরা বল করেছে মারুফা।
কাজেই র্যাংকিংয়ের ফারাক থাকলেও বাংলার মেয়েরা মোটেই ছেড়ে কথা বলবে না।
কারা হতে পারেন মূল ইতিবাচক
-
এমা ল্যাম্ব (Emma Lamb)
মাত্র ২১ ODI খেলেও, ইংল্যান্ডের আস্থা হয়ে উঠেছেন তিনি। অফস্পিনও করেন ভাল। -
মারুফা অধিকার (Marufa Akter)
নতুন বল নিয়ে দারুণ গতি ও সুইং আছে তার, যা ইংল্যান্ড ওপেনারদের জন্য কঠিন হতে পারে। নেটস সেশনেও দারুণ বল করেছেন।
বাংলাদেশ মোটের ওপর আগের দল নিয়েই খেলবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে ইংল্যান্ডের ডানহাতি ব্যাটারদের বিপরীতে বামহাতি স্পিনার সানজিদা আক্তার মেঘলাকে নামানো হতে পারে নিশির জায়গায়। খেলিয়ে নাও বেছে নিতে পারে, ক্লান্তিকর পিচে অফস্পিন বোলার হিসেবে।
পিচ ও আবহাওয়া
নতুন পিচ হলেও, গত দুই ম্যাচেই দেখা গেছে দুপুরের পর বল ভাল স্পিন হচ্ছে। সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।